যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সামনে রেখে জামায়াত যেন দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওলামা-মাশায়েখদের উদ্দেশে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "জামায়াত অঘটন ঘটিয়ে পরিস্থিতি অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারে। তারা যেনো কোনো রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।"
ইসলামী আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার সংবিধান থেকে 'বিসমিল্লাহ' বাদ দেবে� একথা তার দল বা সরকারের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি।
"ধর্মীয় শিক্ষা আবশ্যিক হবে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে," জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, "আমরা ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে নই। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ হয় না। এজন্যই আমরা চাই, ধর্মীয় শিক্ষা যেন ঠিকমতো দেওয়া হয়। ইসলামের সাথে সাথে আমরা আধুনিক শিক্ষাও দিতে চাই। যেনো আমাদের সন্তানেরা দেশে-বিদেশে চাকরি পেতে পারে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আগে কথায় কথায় বল তো 'ইসলামিক টেররিস্ট'। আমি দেশে-বিদেশে এর প্রতিবাদ করেছি। এখন আন্তর্জাতিকভাবে আর ইসলামিক টেররিস্ট বলে না।"
চলতি বছরের ২৪ ফেব্র"য়ারি চট্টগ্রামে ওলামাদের ওপর পুলিশী হামলার ঘটনাকে 'দুঃখজনক' আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, "এই ঘটনার পেছনে কিছুটা ভুলবোঝাবুঝি এবং ষড়যন্ত্র ছিলো।"
নিজের জীবনের ওপর হুমকির কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "আজকেও একটা চিঠি পেয়েছি। আমি মনে করি, আল্লাহ আমাকে একটা কাজের জন্য পাঠিয়েছেন। ঐ কাজ শেষ হলে আমাকে তুলে নেবেন। তখন কেউ আটকে রাখতে পারবেন না।"
অনুষ্ঠানে ইসলামী আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমদ সাফী, আরশাদ আলী, আব্দুল জব্বার, নুর হোসেন কাসেমী এবং জুনায়েদ বাবু নগরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মুখ্য সচিব এম এ করিম।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন