পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০১০


সার কারখানার গ্যাস যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে
জরুরি ভিত্তিতে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে তা বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এক সভায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বর্ধিত বিদ্যুৎ সেচের সুবিধার জন্য বোরোচাষীদের সরবরাহ করা হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সভায় উপস্থিত থাকা পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর।

"সার কারখানা বন্ধ রাখলে আটশ ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাঁচবে," জানিয়ে হোসেন বলেন, "এই গ্যাস দিয়ে চারশ থেকে সাড়ে চারশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।"

সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কতদিন বন্ধ রাখা হবে তা নির্দিষ্ট করেননি তিনি।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ এনামুল হক, জ্বালানি সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবীর ও বিদ্যুৎ সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

"সার কারখানাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে," জানিয়ে হোসেন মনসুর বলেন, "আপাতকালীন ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে।"

যমুনা, জিয়া, পলাশ, সিইউএফএল, কাফকো, ঘোড়াশালসহ প্রায় সব কারখানাতেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।

সারের যথেষ্ট মজুদ থাকায় আপাতত সার কারখানা বন্ধ রেখে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার তদারকি সেলের হিসাব অনুযায়ী ফেব্র"য়ারি পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের মজুদ পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার তিনশ ৮০ মেট্রিক টন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বোরো মৌসুমের শেষ দিকে (১৫-২০ দিন) সার কারখানা বন্ধ থাকলে খারাপ প্রভাব পড়বে না।"

সেচ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ না পেয়ে কৃষকরা স�প্রতি দেশজুড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় ঘেরাওয়ের খবর পাওয়া গেছে গত কয়েকদিনে।

কোন মন্তব্য নেই: